আজ ঢাকাই সিনেমার দু’বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী নাসরিন আক্তার নিপুণের জন্মদিন। ১৯৮৪ সালের আজকের দিনে কুমিল্লার জালগাঁওয়ে জন্ম তার। ২০০৬ সালে রূপালি জগতে পা রাখেন তিনি। মেয়ে তানিশার সাথে এবার মালদ্বীপে জন্মদিন উদযাপন করছেন নিপুণ।
এ ব্যাপারে তিনি জানান, ‘আমার একমাত্র মেয়ে তানিশা আমেরিকার লস এঞ্জেলসের ইউসিএলএ ইউনিভার্সিটিতে সাইকোলজি বিষয়ে পড়াশোনা করছে। মে মাসে সে সামার ভ্যাকেশনে বাংলাদেশে এসেছে মায়ের সঙ্গে কাটাতে। দেশে এসেই তানিশা বলে, আম্মু তোমার জন্মদিন এবার মালদ্বীপে করবো। শুধু তাই নয়, ট্যুরের অর্ধেক খরচও আমি দেবো। মূলত ওই আমাকে সারপ্রাইজ বার্থ ডে গিফট হিসেবে মালদ্বীপ নিয়ে এলো। আমরা দুজনে ৭ জুন এখানে এসেছি, ফিরবো ১১ জুন। আমরা মা – মেয়ে দারুন উপভোগ করছি অনেক সুন্দর সিয়াম ওয়ার্ল্ড দ্বীপে।’
নিপুণ জানান, ‘মালদ্বীপ ভ্রমণের ড্রেস, জুতাও কিনে দিয়েছে তানিশা। জন্মদিনের সকালে ফ্লোটিং ব্রেকফাস্ট বিল দিয়েছে তানিশা। সন্ধ্যায় সে মায়ের জন্মদিনের স্পেশাল কেকটি মাকে নিয়ে কাটবে। নিজের মেয়ের কাছ থেকে জন্মদিনে এতোটা ভালোবাসা পেয়ে মা হিসেবে সত্যিই আমি আপ্লুত। এটা অন্য রকমের এক ভালোবাসা।’
গতকাল মধ্যরাত থেকে ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষী ও সহকর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত নিপুণ। অন্যসব সহকর্মীদের মতো নিপুণকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা শাহনূর। শুভেচ্ছা বার্তায় এই চিত্রনায়িকা নিপুনকে ‘শিল্পী সমিতির সাধারন সম্পাদক’ হিসেবে আখ্যা দেন। আর এতেই চোটেছেন শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক জায়েদ খান।
মন্তব্যের ঘরে নিপুণকে ‘অনির্বাচিত মানুষকে পদবি দিচ্ছেন’ উল্লেখ করে জায়েদ খান লিখেন, ‘একজন অনির্বাচিত মানুষ ভোটে পাস না করে জোড় করে চেয়ারে বসে আছে,সর্বোচ্চ আদালতে মামলা চলমান,আপনার মত শিল্পী তাকে সাধারন সম্পাদক পদবী দিয়ে যাচ্ছেন। এরপরও নীতি বাক্য ছাড়বেন ও ভালো ভালো উপদেশ দিবেন। সত্যিকারে যে সততা আর নীতির মধ্যে আপনারা নাই এটা বুঝতে পারছেন তো?’
নায়িকা শহনূরের মতো সত্তর ও আশির দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমানও নিপুনকে ‘শিল্পী সমিতির সাধারন সম্পাদক’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সেখানেও মন্তব্যের ঘরে একি কথা লিখেন জায়েদ খান।
এদিকে নিপুন আক্তার উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করার পর রাশিয়ায় চলে যান ১৯৯৯ সালে। ২০০৪ সাল পর্যন্ত মস্কোতে পড়ালেখা করেন। এরপর চলে যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে পড়ালেখা শেষ করে দেশে ফিরে আসেন ২০০৬ সালে। আর ঐ বছরই অভিষেক করেন ঢাকাই চলচ্চিত্রে।